০১। সিংগাইরের ফুলচাষ: ফুল চাষ করে ভাগ্য বদল করেছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার শত শত ফুলচাষি । বাণিজ্যি কভাবে ফুল চাষ করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি তারা বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ও সুযোগ করে দিয়েছেন । উপজেলার জয়মন্টপ, ধল্লা, দশআনি, বাস্তা, খাসেরচর, ফোর্ডনগর, বাইমাইল, জামালপুর, চাড়াভাঙ্গা, কালিয়াকৈরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ওইসব রঙিন ফুলে গাঁথা রয়েছে তাদের জীবনের প্রতিটি স্বপ্ন। এখানকার ফুল দখল করেছে শাহবাগের বাজার। সিংগাইরের জমি ফুল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। অল্প সময় আর কম খরচের কারণে সিংগাইরে দিন দিনই বাড়ছে ফুলের চাষ। বর্তমানে সিংগাইরের বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিক ভাবে ফুল চাষ হচ্ছে।
০২।সিংগাইর গাজর চাষ: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম এখন 'গাজর গ্রাম' হিসেবে পরিচিত। গাজর উৎপাদন করে নিজেদের আর্থিক স্বচ্ছলতার সাথে সাথে স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতে যোগান দিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সিংগাইর উপজেলায় গাজর চাষ হচ্ছে। অল্প সময়ে ফলনে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছেন গাজর চাষে। উপজেলার জয়মণ্ডপ, খড়ারচর, ভাকুম, দূর্গাপুর, ধল্লা, বাস্তা, মীরের চর, আজিমপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার কৃষক গাজর চাষ করে ফিরিয়েছেন ভাগ্য। সিংগাইর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে সিংগাইরে ১২শ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন গাজর উৎপাদন হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব গাজরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
০৩। সুনালী আশ: সিংগাইরে পাট আবাদে ঝুঁকে পড়েছে ১১ হাজার কৃষক। ধান চাষে উর্বরতা হারানো জমিতে আবার সবুজ পাট গাছে ভরে উঠেছে মানিকগঞ্জজেলার সিংগাইর উপজেলার মাঠ গুলো। মাঠের পর মাঠ, যত দূর দৃষ্টি যায় ততোদূর সবুজ পাটের খেত। কোথায় কোথা ও উচ্চ পাট খেত জাকদেবার জন্য পাট কাটতে ব্যস্ত কৃষক। মাঠেই গাদা করে রাখা হচ্ছে সেগুলো। সিংগাইর, জামালপুর, সানাইল, নয়াবাড়ি, বায়রা, চরজামালপুর, জয়মন্টপসহ একাধিক গ্রামে এর কমই দৃশ্য। সিংগাইর উপজেলায় উচ্চফলন শীল (উফশী) পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ১ হাজার কৃষক প্রথমে পাট চাষ করে লাভবানহন তাদেখে অন্যরা ও উৎসাহিত হয়ে আবার বাংলাদেশের সুনালী আশ পাট চাষ শুর করেছে।